RICKSHAW

Sunday, May 31, 2009


Restriction on rickshaw movement fails to stop traffic jam in city
Mahbubur Rahman Khan


Imposing ban on rickshaw movement on different roads of the capital could not stop traffic jam rather it accentuated the economic woes of people, pushed more rickshaw pullers into poverty trap and created transport problem for a large number of commuters.


Hundreds of poor people in the capital mange their bare necessities of life by pulling rickshaw. The earnings of the rickshaw pullers, however meager, could make dent on poverty and alleviate sufferings of their family members in the countryside at least to some extent. Rickshaw pullers of the Dhaka city remit about tk 2 crore to their village homes each month. But imposition of ban on rickshaw movement on certain roads in the capital has robbed a good number of rickshaw pullers of their means of livelihood, according to Human Resource Centre (HRC).


The revenue earnings of the government from the rickshaw related industry and trade are much higher than those of the small automobiles. The government earned Tk 1,980 crore in revenue from rickshaw sector compared to Tk 64 crore from small automobiles in 2004-05 fiscal, said a report of the Bangladesh Bureau of Statistics.


Rickshaws in Dhaka city alone save fuel worth Tk 5,000 core every year and the yearly savings from the point of environment stand at Tk 10,000 crore, said a survey report of Paribash Bachao Andolon (PABA),an NGO.
There is no updated statistics on the actual number of rickshaws plying on different roads in the capital. Its number varies from two lakh to five lakh.
Imposition of ban on non-automobile transports on particular roads could not stop traffic congestion. A survey conducted by Human Development Resource Centre (HDRC) in 2004 found that the expenditure of rickshaw users has increased after the ban on rickshaws. Ban on the movement of rickshaws on certain roads in Mirpur area in the capital on the plea of reducing traffic jam has not produced the desired result. Rather the step increased traffic congestion on the roads which were made off-limit to rickshaws.
Citing example, the survey report said that following the imposition of ban on the movement of rickshaws on those roads, 25 percent of the commuters were compelled to walk through the roads in the absence of footpath. 42 percent of the people, who used to travel by rickshaws before the imposition of ban, are now hiring different modes of automobiles to go to different destinations. Extra pressure of mechanised transports on these roads made off-limit to rickshaws has simply choked them creating much discomfort for the commuters, the survey report added.


The imposition of ban on the movement of rickshaws has also reduced the income of rickshaw pullers by 32 percent, it claimed.


A survey report of Dhaka Urban Transport Project (DUTP) said rickshaws in no way create obstacle in the movement of mechanized transports. After making some roads in Mirpur off limit to rickshaws the average speed of buses plying in the area rather dropped by 3.8 kilometer, it mentioned.
Shakil Bin Kashem, Professor, Department of Urban and Regional Planning of Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET), told The New Nation that the traffic system has deteriorated after imposition of ban on rickshaw on some roads in the capital.

Syed Saiful Alam
Save The Environment Movement
shovan1209[at]yahoo.com

Tuesday, May 26, 2009

কতটা গতির দরকার? কতটা গতিতে চললে রিকশা ঢাকায় চলতে পারবে?



লেখাটি  somewhereinblog প্রকাশিত 

যানজট একটি আমাদের সবার জন্য সমস্যা আর এই সমস্যাকে পুজিঁ করে দেশি বিদেশি ব্যবসায়ীক শ্রেনী নেমে পড়েছে ব্যবসায়। জনগণকে জিম্মি করে তারা বছরের পর বছর ঢাকায় জনগণের টাকায় কিংবা ঋণের টাকায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু যানজট কমেনি। শুধু প্রকল্পের বৃদ্ধিই ঘটছে ধারাবাহিক ভাবে। এই রকম অনেক প্রকল্প নিয়েই সুনিদিষ্ট তথ্যসহ তাদের ব্যবসার কথা জনগন ইতিমধ্যে জেনেছে। গতকাল ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থার সাথে জড়িত একটি বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তার কথা আজ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি রিকশা নিয়ে কথা বলছেন রিকশা ধীর গতি সম্পন্ন যান। আর তাই মহাসড়কে রিকশা উচ্ছেদ করতে হবে। কিন্তু অতীতেও বিভিন্ন রাস্তা থেকে রিকশা উচ্ছেদ করা হয়েছে ফলাফল শুভ হয়নি।

যাত্রীদের যাতায়াত সময়-ব্যয় বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ, যানজট বৃদ্ধি, পরিবহণ কোম্পানীগুলোর পরিবহণ পরিচালনার ব্যয় বেড়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত একটি পোস্ট দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম কিন্তু পোস্টটি বড় হয়ে যাবে ভেবে কয়েকটি পোস্ট দিব ঠিক করলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের পোস্ট " রিকসা কি আসলেই ধীর গতি সম্পন্ন যান‍"আজ এই ফোরামে এই বিষয়টি নিয়ে লিখছি আমাদের সবার যাতে রিকসা ধীর গতি সম্পন্ন যান এই সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পরিবর্তন ঘটে। রিকশা উচ্ছেদের অন্য কোন কারণ থাকতে পারে কিন্তু ধীর গতি সম্পন্ন যান তা উচ্ছেদের যুক্তি সই কারণ নয়। রিকসা কি আসলেই ধীর গতি সম্পন্ন যান? যখন অধিকাংশ যান্ত্রিক যানবাহন অযান্ত্রিক যানবাহন অপেক্ষা গতিশীল, তখন গতি আসলেই বিবেচ্য একটি বিষয়। কিন্তু জনবহুল শহরের প্রেক্ষিতে গতির বিষয়টি একটু ব্যতিক্রম।


ঢাকা শহরের বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে স্বল্প পরিমান জায়গায় অনেক লোক চলাচল করে থাকে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সৃষ্টি হয় যানজটের। ঢাকার মতো বিশ্বের অন্য শহরগুলোতেও এই সমস্যা বিরাজমান। অযান্ত্রিক যান না থাকা এবং ব্যয়বহুল রাস্তা নির্মাণের পরও বিশ্বের অধিকাংশ শহর থেকে এ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। মধ্য লন্ডনে গাড়ির গতিবেগ ঘন্টায় ৮ কিঃ মিঃ যা ১৮৮০ সালে ঘোড়ার গাড়ির সমপরিমান। কখনো কখনো এ গতি সাইকেল থেকেও ধীর এবং কখনো কখনো পায়ে হেটে চলাচলের সমপরিমান হয়। বাইসাইকেলে ঘন্টায় ১০-১৫ কিঃমিঃ বা তার চেয়েও বেশি যাওয়া যায়। ঢাকা যে সকল রাস্তায় অনেক আগেই অযান্ত্রিক যান নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে এখন অসহনীয় যানজট বিরাজ করছে এবং সার্বিক যাতায়াতের সময়সীমাও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় যান্ত্রিক যানবাহনে শহরের দূরবর্তী এলাকায় যেতে রিকসা/বাইসাইকেলের প্রায় সমান সময় প্রয়োজন হয়। সেখানে রাস্তায় যেহেতু কোন অযান্ত্রিক যানবাহন নেই সেহেতু সেখানকার রাস্তার গতিহীনতার জন্য অযান্ত্রিক যানবাহনকে দায়ী করা যাবে না।


অর্থাৎ যান্তিক যান নিষিদ্ধ করেও ভাল কোন সুফল পাওয়া যাবে না। বরং অধিক যান্ত্রিক যানের কারণে এই রাস্তাগুলোতে অত্যাধিক হারে বায়ুদূষণ ঘটছে এবং যাতায়াতের অনুপোযোগি হয়ে পড়ছে। মিরপুর রোড, ভিআইপি রোড থেকে রিকশা উচ্ছেদ করা হয়েছে কিন্তু যানজট আগের চেয়ে বেড়েছে। তাহলে রিকশার সাথে যানজটের বিষয়টি আমাদের কাছে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে? সমস্যা অন্য জায়গায় একটু লক্ষ্য করুন থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, ফিলিপাই, ইন্দোনেশিয়া যানজটপূর্ণ শহরগুলোর কথা।

তাদেরই বিভিন্ন পরামর্শ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে শহরগুলো যানজটের শীর্ষস্থান অধিকারী শহর হিসেবে নাম লিখাতে পেরেছে। তারা সেখানেও একই ভাবে রিকশা উচ্ছেদ করেছে। ওখানে ব্যর্থ যানজট সমাধানে কাল্পনিক চেষ্টায় এখন যানজট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু  যানজটকে পুঁজি করে নাগরিকদের জিম্মি করা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বেড়েছে তাদে কয়েক গুণ।

আমাদের দেশেও একই র্ফমুলা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমাদের এখনই সোচ্চার হতে হবে নয়তো আমাদের প্রিয় ঢাকা ব্যাংককের মত যানজটপূর্ণ শহর হবে। ব্যাংককে মোট্রে রেল, স্কাইরেল, ফ্লাইওভার, নৌপথ সবই আছে। সাথে আছে প্রচন্ড যানজট। পাশপাশি ওদের ব্যবসা কিন্ত প্রতিবছরই বাড়ছে। আসুন চিনে নেই তাদের নয়তো আমাদেরও যানজট আর যানজট শব্দের ফাঁদে ফেলবে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে। কিন্তু যানজট থেকে মুক্তির স্বপ্ন আমাদের স্বপ্নই থাকবে।

লেখাটি  somewhereinblog প্রকাশিত


Syed Saiful Alam
shovan1209[at]yahoo.com

বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে অদুরদর্শী পরিকল্পনা অন্তরায়

দীর্ঘদিন পর কিছু ঋণ প্রদানকারী সংস্থা রেলের উন্নয়নে ঋণ প্রদান করে। কিন্তু এ সকল ঋণ সহায়তায় রেল উন্নয়নে স্টেশন রি মডেলিংয়ের নামে শত শত কোটি টাকা কিভাবে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করা হচ্ছে তা একটি স্টেশনের উদাহরণ থেকেই অনুমান করা যথেষ্ট। রি মডেলিং প্রকল্পের একটি স্টেশন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন। এই জংশন স্টেশনের রি মডেলিং বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়, ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। একই সঙ্গে ওই স্টেশনের ইন্টার লকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা প্রবর্তন বাবদ আরও ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অর্থাৎ সর্ব সাকুল্যে ২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা স্টেশন রি মডেলিং বরাদ্দ দেয়া হয়। এই রি-মডেলিংয়ের টাকা থেকে অনধিক ২৫ কোটি টাকায় একটি অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন ক্রয় বা সংগ্রহ করেও অবশিষ্ট টাকা দিয়ে কাঁচামালের যোগান দেয়াসহ রেলওয়ে কারখানায় ওভার টাইম চালু করে কমপক্ষে ২০টি ইন্টারসিটি ট্রেনের অকেজো শোভন চেয়ার কোচ মেরামত করা যেত। ওই মেরামতকৃত কোচ ও সংগ্রহকৃত ইঞ্জিনের সমন্বয়ে গঠিত আন্তনগর ট্রেনটি ঢাকা চট্টগ্রাম লাইনে চলাচলের ফলে রেলের বার্ষিক আয় বৃদ্ধি পেতো প্রায় ১৪ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার উর্ধে। অথচ দেড়শ কোটি টাকার অধিক ভর্তূকি প্রতিষ্ঠানে এহেন রি-মডেলিং মানে রেলওয়েকে বাকীর খাতায় শূন্যই গুনতে হচ্ছে।




www.dhaka-rickshaw.blogspot.com/ Dhaka Rickshaw
www.dhaka-transport.blogspot.com/ Pro-people Transport Plan www.dhakanewspapers.blogspot.com/ All Newspapers on one click


Syed Saiful Alam
Save The Environment Movement
shovan1209[at]yahoo.com

বর্তমান সময়কালে অন্য যেসব স্টেশন রি-মডেলিংয়ের কাজ হয়েছে বা হচ্ছে তন্মধ্যে নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, বি-বাড়িয়া,শায়েসত্মাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, কুমিল্লা, লাকসাম ও ফেনী স্টেশন উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া পশ্চিমাঞ্চলেও এরকম বহু স্টেশন টেকসই কাজের পরিবর্তে নিম্নমানের কাজ করিয়ে অধিক অর্থ অপচয়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঋণের টাকা যখন সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন রি-মডেলিং করা হচ্ছে, ঠিক সমসাময়িক ঘটনা হচ্ছে অর্থের অভাবে সিলেট-খাজাঞ্চি-ছাতক রেলপথ সংস্কার করা যাচ্ছে না, ফলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিগত কয়েক মাসে রেল লাইন সংস্কারের অভাবে অনেক দূর্ঘটনা হয়েছে এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। অথচ টাকা নেয়া হচ্ছে স্টেশন আধুনিক করা জন্য। মানুষ যদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গনত্মব্যে পৌছতে পারে তবে স্টেশনে বসে থাকবে কেন? স্টেশন আধুনিক করা অপেক্ষা রেল লাইন উন্নয়ন করা জরুরি, জরুরি রেলের বগি ও ইঞ্জিন বাড়ানো।

একদিকে বলা হচ্ছে ঋণ ছাড়া চলা সম্ভব নয়, অপর দিকে এমন খাতে ঋণ দেওয়া বা নেওয়া হচ্ছে যা অপ্রয়োজনীয়। যেসব স্টেশন রি-মডেলিং করা হয়েছে সেসব স্টেশনের আয় বৃদ্ধি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা, মূল্যায়ণ করে জনসম্মুখে তুলে ধরা প্রয়োজন। কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিক জনগণ। রেলওয়ে জাতীয় সম্পদ বিধায় রেলের মালিকও আপামর জনগণ এবং তাদের এ তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। আন্তজার্তিক অর্থলগ্নিকারী (ঋণ বাণিজ্যিক) প্রতিষ্ঠানগুলো রেলওয়ের চেয়ে সড়ক পথের উন্নয়নে বেশী আগ্রহী। দ্বিতীয়ত ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলো শর্তসাপেক্ষে রেলওয়ের উন্নয়নখাতে সরকারকে ঋন দিয়ে থাকে যা স্টেশন রি মডেলিংয়ের মত অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। তৃতীয়ত তথাকথিত ঋণ সংস্থার পরামর্শ ও দিক নির্দেশায় অনেক উন্নয়ন গৃহীত হচ্ছে। ফলে দেশীয় অনেক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা না থাকায়, আশানুরূপ উন্নয়ন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে দেশীয় বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা জরুরি। আন্তজাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শে বিভিন্ন উন্নয়ন নীতিমালা প্রণীত হয়। অভিযোগ রয়েছে এ সকল পরামর্শ যা দেশের শিল্প কারখানা ও সেবা খাতগুলোর উন্নয়নে সরকারকে উদ্যোগী হতে নিরুৎসাহিত করে। মুক্ত বাজার অর্থনীতির সুবাদে এ দেশকে বিদেশী পণ্যের বাজারে পরিণত করতে দেশের শিল্প কারখানা ও সেবা খাতগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে পরিশেষে সবকিছু ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ প্রদানই এসব সহযোগীদের মুখ্য উদ্দেশ্য বলে অনেকেই উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে।

বিগত দিনে উন্নয়নের নামে এই এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শেই খুলনা বাগেরহাট, মোগল হাট লালমনির হাট, ভেড়ামারা-রায়টা, নরসিংদী-মদনগঞ্জসহ বিভিন্ন রেলপথ বন্ধের মাধ্যমে সংকোচন করা হয়েছে। রেলওয়েতে দীর্ঘদিন ধরে স্টেশন রিমডেলিং এর মতো বিদেশী ঋণপ্রদানকারী সংস্থার ঋণের অর্থ প্রকৃতপক্ষে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করা হচ্ছে যা আদৌ এ মুহূর্তে জরুরী প্রয়োজন ছিলনা বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে। দুঃখজনক হলেও সত্য যেসব খাতে বিনিয়োগ করলে রেলওয়ে সেবাকে জনগণের কাছে সহজলভ্য ও রেলের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সরাসরি সহায়ক হতো সেসব খাতে যথেষ্ট বরাদ্ধ নেই। ফলে রেলের অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয়িত ঋণের টাকা সুদে আসলে পরিশোধ করতে বছরের পর বছর চলে যাবে।


বস্তুতপক্ষে ঋণপ্রদানকারী সংস্থার কারণে রেলের সত্যিকার উন্নয়ন হয়ে উঠেছে বাধাগ্রসত্ম, যা কারো কাম্য নয়। রেল লাইনের সংস্কার নেই, বগি নেই, ইঞ্জিন নেই ইত্যাদি সমস্যা জর্জরিত রেলওয়ে এহেন বেহাল দশা থেকে উত্তোরণে উপযুক্ত খাতে ঋণের টাকা ব্যয় না করে শুধু স্টেশন রিমডেলিং করার অর্থ হলো আশীতিপর বৃদ্ধাকে মেকাপ লাগিয়ে অষ্টাদশী তরুনী বানানোর ব্যর্থ চেষ্টারই নামানত্মর মাত্র। ঋণ গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই বিবেচনা করা প্রয়োজন এ অর্থ কিভাবে পরিশোধ করা হবে? এ ঋণ হতে কি পরিমান লাভ হবে? যদি দেখা যায়, স্টেশন আধুনিকায়নের জন্য ঋণ প্রদান করা হচ্ছে, কিন্তু রেল লাইন সংস্কার, ইঞ্জিন বা বগি ক্রয়ের সমস্যার জন্য রেল যোগাযোগ বিঘি্নত করা হচ্ছে। তবে এ ধরনের ঋণ গ্রহন না করা উচিত। মৌলিক প্রয়োজনের পরিবর্তে এ ধরনের ঋণ গ্রহন অপচয়। কারণ এ ধরনের অহেতুক ঋণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে দূর্বল করা হয়।


এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের টাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের চার বছর মেয়াদী চলমান সংস্কার কর্মসূচীকে ঘিরে খোদ রেলওয়েসহ বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, এডিবি'র ঋণ ও পরামর্শ সংস্কারের নামে বাংলাদেশ রেলওয়েকে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করার পায়তারা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ এবং অনুযোগ সর্তকতার সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন। কারণ যে সকল প্রতিষ্ঠানে এডিবি এবং বিশ্বব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে তা আশানুরূপ ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের বৃহত্তর স্বার্থে এডিবির ঋণে চলমান সংস্কার কর্মসূচী মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।




www.dhaka-rickshaw.blogspot.com/ Dhaka Rickshaw
www.dhaka-transport.blogspot.com/ Pro-people Transport Plan www.dhakanewspapers.blogspot.com/ All Newspapers on one click


Syed Saiful Alam
shovan1209[at]yahoo.com

জাতীয় জীবনে রেলের ভূমিকা

জাতীয় জীবনে রেলের ভূমিকা : ১৯৮৮ এবং ১৯৯৮ সালে বন্যার কথা আমাদের সকলেরই স্মরণ আছে। এই বন্যায় যাত্রী ও মালামাল পরিবহন এবং দূর্গত এলাকায় ত্রাণ পরিবহনের ক্ষেত্রে রেল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। ঐ সময় একমাত্র রেল ছিল দেশের যোগাযোগ রক্ষার কান্ডারী। এ ছাড়াও জরুরি ডাক পরিবহন, আইন শৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনীর মালামাল পরিবহন করার মাধ্যমে রেলগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। হরতাল, ধর্মঘট বা অন্য যে কোন মানব সৃষ্ট দূযোগে বাংলাদেশ রেল সরকারের একমাত্র ভরসা। প্রতিটি উৎসব পার্বনে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রী সেবা বিশেষ সেবা প্রদানের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় সেবা প্রতিষ্ঠান রেলের ভূমিকা সরকারের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। রেলের কারণেই অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য পরিবহনগুলো মানুষকে জিম্মি করতে পারে না। আর এই বিবেচনায় রেল রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিরাপত্তায় একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিকেন্দ্রীকরণ এবং শহরের উপর চাপ কমাতে রেলে ভূমিকা: নগর ব্যবস্থার বিকেন্দ্রকরণে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নানা কারণে মানুষের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের প্রয়োজন হয়। ঢাকার আশেপাশের এলাকা থেকে যদি প্রতিদিন আসা-যাওয়ার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়, তবে ঢাকা শহরের উপর চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। ইতোমধ্যে ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা পথে নতুন ট্রেন তুরাগ এক্সপ্রেস চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকায় অফিস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন কর্মজীবি, পেশাগামী যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য এ সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অপরদিকে প্রতি রাস্তায় যে দূর্ঘটনা ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তা বহুলাংশে হ্রাস পাবে। ফলে পরিবেশ দূষণ ও জ্বালানী খরচ অনেক কমে আসবে। যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বর্তমান প্রেক্ষিতে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থায় চলমান রেল সার্ভিসের মান উন্নয়ন করার মাধ্যমে যানজট নিরসন করা সম্ভব। এর জন্য যাত্রী সংখ্যানুসারে যৌক্তিকভাবে রেলের জন্য রুট নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া টঙ্গী থেকে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা লাইনে নগরকেন্দ্রিক যাতায়াতের জন্য রেলগাড়ি চালু করার মাধ্যমে মানুুষের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। এর সঙ্গে রেলের সময় মতো স্টেশনে আসা, স্টেশনে বসার সুব্যবস্থা ও টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা প্রয়োজন।







কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেল: বাংলাদেশে বৃটিশ শাসনামলে সামগ্রীক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটে রেলের মাধ্যমে। এর পূর্বে বাজার বা অর্থনীতি ছিল স্থানীয় বা অঞ্চল ভিত্তিক। রেলওয়ের মাধ্যমে আধুনিক ও সহজ পরিবহন ব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটে। বৃটিশরা এই অঞ্চলে মূলত পাট পরিবহনের জন্য রেললাইন স্থাপন করে। কিন্তু পরবর্তীতে এই রেল সমপ্রসারণের মাধ্যমে বর্তমানে অবস্থায় এসে পেঁৗছেছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে রেল স্টেশনকে কেন্দ্র করে অনেক বড় আকারের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি রেল। দেশের ব্যবসায়ী মহল রেলওয়েকে সব সময়ই পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাগণ নিজে পণ্য পরিবহন করার জন্য সব সময়ই রেলকে বেছে নেয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলওয়ের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। অতীতের ন্যায় সম্পূর্ন না হলেও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেলওয়ের উপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর রেলওয়ের মাধ্যমে প্রায় চার কোটি দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন করে। স্বল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ দ্বিগুনেরও বেশী। মালামাল বহনের ক্ষেত্রে ও রেল এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। পূর্বে চট্টগ্রাম বন্দর হতে রেল সিংহভাগ পণ্য পরিবহন করত। বর্তমানেও রেল বড় অংশের পণ্য পরিবহন করে থাকে। এইসব যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের আয় আমাদের রাজস্ব আয়ের অংশ।

রেলওয়ে দেশে নদীর তীরবর্তী বাজারের ধারা পরিবর্তন করে রেল স্টেশনের নিকট বাজার স্থাপনের ধারা প্রবর্তন করে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেয়। ছোট ছোট কুটির শিল্পে উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাকরণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জীবিকা নির্বাহে রেল ভূমিকা রাখছে। দেশের প্রতিটি রেল স্টেশনকে কেন্দ্র করে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা গড়ে উঠেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, হকার, মুদি দোকান, চা বিক্রেতা, সংবাদপত্রের দোকান এবং খাবারের জন্য এক বা একাধিক রেষ্টুরেন্ট। এর সাথে দেখা যায় মালপত্র নেওয়ার জন্য একদল মানুষ কাজ করে থাকে। স্টেশনকে কেন্দ্র করে অল্প দূরত্বে পরিবহনের জন্য রিকশা ও ক্ষুদ্র বাহনগুলোর স্ট্যান্ডও গড়ে উঠে। এ সকল ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের বা সেবাদানকারীদের একমাত্র নির্ভরতা রেলের যাত্রীবৃন্দ। এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ও কৃষকরাই আমাদের অর্থনীতি মূল ভিত্তি এবং তাদের পণ্য পরিবহনের একমাত্র সহায়ক রেলওয়ে। এছাড়া রেলওয়ের রয়েছে এক বিশাল কর্মী বাহিনী তাদের এবং তাদের পরিবার পরিজনের জীবিকায় একমাত্র অবলম্বন রেলওয়ে।



www.dhaka-rickshaw.blogspot.com/ Dhaka Rickshaw
www.dhaka-transport.blogspot.com/ Pro-people Transport Plan
www.dhakanewspapers.blogspot.com/ All Newspapers on one click

Syed Saiful Alam
Save The Environment Movement
shovan1209[at]yahoo.com