With a few simple steps, we could make Dhaka more livable. The first step is to change our priorities, by emphasizing access, not mobility, short rather than long distance travel, children, not cars, and livable environments, not just transport. “We need a model in which happiness, rather than consumption levels, is the measure of success.”
RICKSHAW
Monday, June 1, 2009
অর্থনীতি, জ্বালানী সঙ্কট ও রিকশা
পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা)র একদল সেচ্ছাসেবক রিকশা বিষয়ক পেপার তৈরি করেছে। রাজধানী ঢাকার রিকশা চলচলের সুবিধা, সম্ভবনা, চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, বৈজ্ঞানিক ভিত্তি, চলাচলের যুক্তিকতা, পরিবহন পরিকল্পনা, অর্থনীতি, পরিবেশ, রাজনীতি, সামাজিকতা, দারিদ্র বিমোচনসহ অনেকগুলো বিষয়ই উঠে এসেছে। তারপরও নেহাতই সময় সল্পতা, পেপারটির আকার নিয়ন্ত্রণ করার বাধ্য বাধ্যকতা থাকায় বেশ কিছু বিষয় বাদ দিতে হয়েছে। কিন্তু কোন অংশেই সেই বিষয়গুলো ছোট করে দেখার কিছু নেই। এই পেপারটি তৈরি পেছনে থাকা সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি আশা করি এই ব্লগের অনেকেরই বিভিন্ন সময় মন্তব্য প্রকাশের মাধ্যমে এই লেখাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং নানা ভাবে সমর্থন দিয়ে সহয়তা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা বিশ্বাস করি এই লেখাটি যদি বিভিন্ন পযায়ে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যায় তাহলে ঢাকার আগমীর পরিবহন পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
রিকশা অর্থনীতি
ঢাকা শহরের অধিকাংশ যাতায়াত স্বল্প দূরত্বের। আর স্বল্প দূরত্বে বিরতীহীনভাবে যাতায়াতের জন্য রিকশা হচ্ছে সাশ্রয়ী ও জনপ্রিয় বাহন। রিকশা জ্বালানীমুক্ত, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ বাহন। এর মাধ্যমে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সুতরাং রিকশা চলাচলকে কিভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যায় সেই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। রিকশা দেশের পরিবহণ খাতে প্রতি বছর ৫ হাজার কোটি টাকার জ্বালানী সাশ্রয় করছে। রিকশা পরিবেশের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করছে, যার মূল্য বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা। হিউম্যান রিসোর্স সেন্টার (এইচডিআরসি) এর সমীক্ষায় দেখা যায় বাংলাদেশ বিমান, রেল, সড়ক ও নৌপরিবহণ খাত থেকে বছরে যত টাকা আয়, রিকশা থেকে এককভাবে তার চেয়ে বেশি অর্থ আয় হয়। ঢাকার রিকশা চালকরা প্রতি মাসে ২শ কোটি টাকা গ্রামে পাঠান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর তথ্যমতে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে রিকশা থেকে সরকার আয় করেছে ১ হাজার ৯শ ৮০ কোটি টাকা। প্রাইভেট কার জিপ ও ট্যাক্সি থেকে ৬৪ কোটি টাকা।
জ্বালানী সঙ্কট ও রিকশা :
বর্তমানে সারা বিশ্বে জ্বালানী অত্যনত্দ আলোচিত একটি বিষয়। দিন দিন জ্বালানী চাহিদা বৃদ্ধির ফলে দেখা দিয়েছে নানাতর সঙ্কট। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বিশ্বে জ্বীবাশ্ম জ্বালানীর মজুদ নিকট ভবিষ্যতে ফুরিয়ে যাবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে জ্বালানী নিরাপত্তার জন্য এর চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক থেকে রিকশা নিষিদ্ধ করায় পরিবহণ খাতে জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে জ্বালানী সমস্যা সম্পর্কে জাতীয় ও আনত্দর্জাতিক পর্যায়ের কিছু বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।
১.দি নিউইয়র্ক টাইমস এর ওয়েবসাইট সংস্করণে বিশেষজ্ঞদের মতামত শিল্প কলকারখানার চিত্র তুলে ধরে জানায় জ্বালানী তেল রফতানীকারক কয়েকটি নেতৃস্থানীয় দেশ আগামী দশ বছরের মধ্যে নিজস্ব জ্বালানী চাহিদা মেটাতে তেল আমদানীকারক দেশ হিসেবে পরিণত হতে পারে। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়া এরকম পরিস্থিতির সম্মূখীন হয়েছে, অন্যদিকে মেক্সিকো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তেল আমদানীতে যেতে পারে। (আমাদের সময়, ১০ ডিসেম্বর ২০০৭)
২.ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জানিয়েছে ২০০৮ সালে গড়ে প্রায় ২.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের চাহিদা বাড়বে, যা এ বছর রয়েছে ১.৫ মিলিয়ন ব্যরেল। এ ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামাল দিতে ওপেক অনত্দর্ভূক্ত দেশগুলোকে তেল উৎপাদন বাড়াতে হবে বলে আইইএ জানিয়েছে। (যায়যায়দিন, ১৪ জুলাই ২০০৭)
৩.পেট্রোবাংলার হিসেবে ২০১১ সাল থেকে গ্যাসের সংকট শুরু হবে। আর ২০১৫ সালের মধ্যে আবিস্কৃত মজুদ শেষ হয়ে যাবে। ফলে ব্যাপক হারে নতুন গ্যাস আবিস্কার ও কয়লা খনি উন্নয়ন করতে না পারলে বাংলাদেশে জ্বালানী সংকট ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। (সমকাল, ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭)
৪.পেট্রোল-অকটেনের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় সিএনজি এর চাহিদা বাড়ছে। প্রতিদিনিই অসংখ্য গাড়ি সিএনজিতে কনভার্ট করা হচ্ছে। দেখা যায় রিফুয়েলিং স্টেশনগুলিতে সকাল থেকে রাত্রি পর্যনত্দ দীর্ঘ লাইন পড়ে। ফলে যাত্রীদের শ্রমঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে নানাবিধ বিড়ম্বনা ও দূর্ভোগ। (যুগানত্দর, ২১ আগস্ট ২০০৬) ৫.২০০৪-০৫ অর্থবছরে জ্বালানী তেল আমদানীতে ব্যয় হয়েছিল ২৫০ কোটি ডলার। আমদানী করা জ্বালানীর মধ্যে পরিবহণ খাতে ৫৫ শতাংশ, কৃষি খাতে ২১ শতাংশ ও বাকী ২৪ শতাংশ ব্যবহার করা হয় ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জেনারেটরে। (যায়যায়দিন, ২১ আগস্ট ২০০৬) ৬.রিকশার কারণে বাংলাদেশে পরিবহণ খাতে কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকার জ্বালানী সাশ্রয় হয়।
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবানুযায়ী আমাদের দেশে প্রতিবছর শুধু রিকশাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়ে থাকে। (দৈনিক ইনকিলাব, ২ আগষ্ট ২০০৭) জ্বালানী সঙ্কট উত্তরণের লক্ষ্যে পরিবহণ ব্যবস্থায় রিকশার গুরুত্ব অনুধাবন সাপেক্ষে এর চলাচল আরো সুদৃঢ় ও সুসংহত করা বাঞ্ছনীয়।
www.dhaka-rickshaw.blogspot.com/ Dhaka Ricksha
wwww.dhaka-transport.blogspot.com/ Pro-people Transport Plan www.dhakanewspapers.blogspot.com/ All Newspapers on one click
Syed Saiful Alam
Save The Environment Movement
shovan1209[at]yahoo.com
Subscribe to:
Posts (Atom)